মাউস

Friday, 15 March 2013

ইংরেজিতে মাউস বলতে একটু ক্ষুদ্রাকৃতির ইঁদুরকে বোঝানো হয়ে থাকে। তবে বর্তমান যুগে মাউস শব্দটির যতটা না প্রচলন ইঁদুর হিসেবে তার চেয়ে বেশি কম্পিউটার পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি হার্ডওয়্যার হিসেবেই। এটি একটি তার দিয়ে সিপিইউয়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একটি সমান পৃষ্ঠে মাউস রেখে তা নড়াচড়া করালে কম্পিউটার মনিটরে দৃশ্যমান কার্সর নড়াচড়া করে। এ কার্সর দিয়েই কম্পিউটারের অধিকাংশ কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কোনো কাজের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট স্থানে মাউসে থাকা বাটনে চাপ দিতে হয়। মাউসের বাটন চাপ দেওয়া ক্লিক করা নামেই পরিচিত। কম্পিউটার পরিচালনায় ব্যবহৃত মাউসের এ ধরনের নামকরণের মূল কারণ হলো, এর সঙ্গে থাকা তার। প্রথম যাঁরা মাউসের ডিজাইন করেছিলেন তাঁরা লক্ষ করলেন তারসহ মাউস অনেকটা লেজসহ ইঁদুরের মতো। তাঁরা অবশ্য ভেবেছিলেন পরে এর সুন্দর কোনো নাম দেওয়া যাবে। তবে মাউস নামটা এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে তা আর পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৬৩ সালে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডগলাস এঙ্গেলবার্ট তাঁর সহকর্মী বিল ইংলিশের সহায়তায় প্রথম মাউস তৈরি করেন। কাঠের ব্লকে চাকা লাগিয়ে তাঁরা এ মাউসটি তৈরি করেছিলেন। এর ওপরে লাল রঙের একটি বাটন ছিল। ১৯৬৮ সালেও যখন এ মাউসটি পরীক্ষামূলকভাবে চলছিল তখন জার্মান কম্পানি টেলিফানকেন একই ধরনের মাউস বাজারে আনে। ১৯৭০ সাল থেকেই টেলিফানকেন কম্পিউটারের সঙ্গে এ মাউস বিক্রি করা হয়। তবে এ সময়ে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সংখ্যা একেবারেই কম হওয়ায় মাউস সেভাবে সারা ফেলতে পারেনি। মূলত ১৯৮৪ সালের পর মাউসের ইতিহাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। সে সময় অ্যাপলের ম্যাকিনটশে মাউস ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে উইন্ডোজও ঝুঁকে পড়ে মাউসের দিকে। পরবর্তী সময়ে বল ও লেজারের সাহায্যে কাজ করতে সক্ষম উন্নত প্রযুক্তির মাউস বাজারে আসে।

0 comments

Post a Comment