কত mm ফোকাল লেন্থ দাড়া কত ডিগ্রী পর্যন্ত ছবি তুলতে পারবেন 

প্রত্যেকটা লেন্স এরই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট আছে। প্রত্যেকটা মানুষেরই যেমন দুটো হাত, দুটো পা, একটা মাথা (কারো কারো মাথা থাকে না) ইত্যাদি থাকে, যদিও ভিন্ন রং, আকার বা জাতিভেদে; ঠিক তেমন প্রত্যেকটা লেন্স এর কিছু কমন বৈশিষ্ট আছে যেগুলোর ‘মাত্রা’ কমবেশি হতে পারে। এই বিষয়গুলো আগে আলোচনা করবো।


লেন্সএর মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ:
ফোকাল লেংথ: সহজ ভাবে বলতে গেলে, একটা লেন্স এর ফোকাল লেংথ (ভাল বাংলা পেলাম না এই শব্দজোড়া’র) এর উপর নির্ভর করে লেন্স কত দুরের বা কাছের ছবিকে ধারন করতে পারবে। সাধারণত ফোকাল লেংথ এর একক হয় মিলিমিটার (এমএম)।
সহজ সূত্র: যত বেশি ফোকাল লেংথ, তত দুরের বস্তুকে জুম করে কাছে আনা যাবে। যত কম ফোকাল লেংথ, তত বেশি ‘চওড়া’ (ওয়াইড) এলাকার ছবি একটা ছবিতে ধরা যাবে।

প্রশ্ন: একটা লেন্সএর ফোকাল লেংথ ১৮ মিমি। আর একটা লেন্স এর ফোকাল লেংথ ১৮০ মিমি। দ্বিতীয় লেন্সটি প্রথমটির তুলনায় একটি বস্তুকে কতগুন বেশি ‘কাছে টানতে’ পারবে?
১০ গুণ, তাইতো? আচ্ছা, ১০ গুণ না বলে, বলি 10X (ten times). এই এক্স এর ব্যপারটা একটু পরিচিত লাগছে না? ঠিক ধরেছেন। বাজারে বেশিরভাগ কম্প্যাক্ট ক্যামেরাতে এই X zoom জিনিসটা থাকে। যদিও ব্যপারটা খুবই আপেক্ষিক। যেমন ধরুন, যদি লেন্সটির ফোকাল লেংথ শুরু হয় ২০ মিমি থেকে, তাহলে ১০এক্স জুম বলতে বোঝাবে, ২০ মিমি থেকে ২০০ মিমি পর্যন্ত লেন্সটির ফোকাল লেংথ পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু যদি ফোকাল লেংথ ৩৫ মিমি থেকে শুরু হয় (বর্তমানে বেশিরভাগ কম্প্যাক্ট ক্যমেরার ফোকাল লেংথ শুরু হয় ৩০ মিমির আশেপাশে), তাহলে ১০এক্স জুম মানে ওই লেন্সকে ৩৫০ মিমি পর্যন্ত জুম করা যাবে। ৩৫০ মিমি কিন্তু একটা বিষয়কে অনেক বেশি কাছে আনতে পারে ২০০ মিমি’র তুলনায়। কাজেই কেউ যদি বলে এত এক্স, অত এক্স জুম আমার ক্যামেরায়, তাকে জিজ্ঞেস করুন শুরু কত মিলিমিটার থেকে…লেন্সএর গায়েই লেখা থাকবে।

-মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান

0 comments

Post a Comment